ব্রেন স্ট্রোক – যে ১০ টি স্ট্রোকের কারণ বাড়াচ্ছে ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু ঝুঁকি

“ব্রেন স্ট্রোক কেন হয়? ব্রেন স্ট্রোক কী? স্ট্রোক কত প্রকার? ব্রেন স্ট্রোকের ১০টি কারণ কী কী?” – এই প্রশ্নগুলো অনেকের মনেই আসে। এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর এই ব্লগ পোস্টে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
বিডি ব্লগ টাইম এর আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করি সব সমস্যার সমাধান হবে। ব্রেন স্ট্রোক তথা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ যেকোনো বয়েসের ব্যাক্তির ক্ষেত্রেই হতে পারে।
So, ব্রেন স্ট্রোক এর কারণগুলো জানা থাকলে ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।
সূচিপত্র
স্ট্রোক কি?
স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ জনিত এক ধরনের সমস্যা। British National Health Service এর মতে, স্ট্রোক হয় মূলত মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে এবং রক্ত চলাচল বন্ধের কারণে কোষগুলো মারা গেলে।
যেহেতু অক্সিজেন এর মাধ্যমে শরীরের রক্ত চলাচল হয়ে থাকে তাই শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং প্রত্যেকটি অংশে রক্ত চলাচল করা অত্যন্ত জরুরি।
আজকের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রথম পোস্টে সকলকে স্বাগতম। কথা না বাড়িয়ে মূল কথায় চলে যাই।
স্ট্রোক কত প্রকার
সিডিসি (রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র – Centers for Disease Control and Prevention) অনুসারে, তিন ধরনের স্ট্রোক রয়েছে:
- ইস্কেমিক স্ট্রোক: মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমাট রক্ত সরবরাহ ব্যাহত করে এবং কিছু মস্তিষ্কের টিস্যুর মৃত্যু ঘটায়, এটি একটি ইস্কেমিক স্ট্রোক। উচ্চ রক্তচাপের কারণে সাধারণত ইস্কেমিক স্ট্রোক হয়ে থাকে।
- হেমোরেজিক স্ট্রোক: মস্তিষ্কের কোন রক্তনালী ফেটে গেলে হেমোরেজিক স্ট্রোক হয়। স্ট্রোকের ফলে রোগী খুব দ্রুত মারা যেতে পারে। তাই যথাসম্ভব দ্রুত এর চিকিৎসা করানো উচিত।
- মিনি স্ট্রোক বা ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক (টিআইএ): মিনি স্ট্রোক সাধারণত রক্ত চলাচল বিঘ্ন ঘটার কারণে হয়ে থাকে এবং এই স্ট্রোকের রোগীর ততটা সমস্যা হয়ে থাকে না খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে যায়।
তবে বলাই বাহুল্য যে মিনি স্ট্রোক সাধারণত বড় কোন স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই একে অবহেলার চোখে না দেখে খুব দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত
এবং এর লক্ষণ গুলো থেকে নিরাময় পাওয়ার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত।
হার্ট স্ট্রোক কি? ব্রেন স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাক কি একই?
হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। চলুন জেনে নেই ‘হার্ট অ্যাটাক’ সম্পর্কে।
হৃৎপিন্ডে পুষ্টি ও অক্সিজেন গ্রহণকারী করোনারি ধমনীতে যখন অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি জমার কারণে রক্ত জমাট বাঁধে এবং এর মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, এটিই হার্ট অ্যাটাক নামে পরিচিত।
যদিও হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করেই হয়ে থাকে, তবুও প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসা ভালো ভাবে না করালে দীর্ঘস্থায়ী করোনারি সমস্যার কারণে হঠাৎ করেই এ অ্যাটাক হয়ে থাকে।
তবে সময়মতো রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা রোগীকে নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে।
ব্রেন স্ট্রোক কি
ইতোমধ্যে বলা হয়েছে তারপর আবারো বলছি, “মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে একে ব্রেন স্ট্রোক বলা হয়।”
আমাদের দেহে প্রতি সেকেন্ডে রক্ত চলাচলের মাধ্যমে অক্সিজেন প্রবাহিত হয়ে থাকে তাই যখন শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যাবে তখনই ব্রেন স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
তখন এই অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতির কারণে করোনারি ধমনী ফেটে যেতে পারে।
এখন জেনে আছে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের মধ্যে মূল পার্থক্যটি ।
হার্ট অ্যাটাক হয় যখন হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ কমে যায় কিন্তু যখন মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যায় তখন সেটি ব্রেন অ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোক। ব্রেন স্ট্রোক বিখ্যাত ওয়েবসাইট এর লেখা
আরো পড়তে পারেন: সৃজনশীল প্রশ্ন কী? সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম (বোর্ডের নিয়ম)
স্ট্রোকে মৃত্যু। ব্রেন স্ট্রোক
বর্তমানে আমাদের দেশ বাংলাদেশ ব্রেন স্ট্রোকের পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক হারে বেড়ে গেছে।
আগের তুলনায় বর্তমানে শতকরা ১০০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে এই পরিমাণ অর্থাৎ দ্বিগুণ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে ধূমপান, তামাকজাত পণ্য গ্রহণ, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, জনগণের মধ্যে সচেতনতার অভাব, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি কারণে হার্ট অ্যাটাক এর পরিমাণ বেড়েছে।
যার ফলে মৃত্যু ঝুঁকি বা মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছ।
WHO বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে হৃদরোগের পরেই ব্রেন স্ট্রোক বা ব্রেন অ্যাটাক বিশ্বের সবচেয়ে আতঙ্কিত এবং সবচেয়ে সংক্রামক রোগ।
এ রোগের জন্য শারীরিক অক্ষমতাকেই দায়ী করা হয়।
আমাদের দেশ বাংলাদেশে সাধারণত ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে স্ট্রোক এর পরিমাণ ও স্ট্রোকে মৃত্যুর হার অনেকাংশে বেড়ে গেছে।
এক বিশেষ গবেষণায় দেখা যায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের স্ট্রোকের ঝুঁকি কিছুটা কম অর্থাৎ পুরুষদের ক্ষেত্রে মহিলাদের তুলনায় স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি।
তবে অধিকাংশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তিরাই এই ঝুঁকির মধ্যে থাকে। যার মধ্যে এর 50% ই ধূমপানে আসক্ত ব্যক্তি বা ধূমপানকারী।
বাকি 50% এর মধ্যে রয়েছে অনিয়মিত জীবনযাপনকারী এবং ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুডে আসক্ত ব্যক্তি।
আমাদের দেশের তুলনায় বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশে স্ট্রোক এর পরিমাণ বা এর শতকরা হার অনেক বেশি।
WHO বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বের মৃত্যুর জন্য কারণ হিসেবে দ্বিতীয় দায়ী এই ব্রেন স্ট্রোকে।
এক গবেষণায় দেখা যায় মানুষের বারোমাসই অর্থাৎ বছরের সবসময়ই এ স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে।
স্ট্রোক একটি প্রাগৈতিহাসিক রোগ। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দ থেকে প্রাচীন মেসোপটেমিয়া এবং পারস্য সভ্যতায় স্ট্রোক বর্ণনা করা হয়েছে।
ব্রেন স্ট্রোক কেন হয়
ব্রেন স্ট্রোকের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। তারমধ্যে ১০টি কারণ নিয়ে আলোচনা করবো এই ব্লগ পোস্টে। এই ১০টি কারণের মধ্যে ২টি প্রধান কারণ হলো –
১। ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়া
ব্রেন স্ট্রোকের এই কারণটা অর্থাৎ ধমনীর ব্লক “ইসকেমিক স্ট্রোক” বলে।
এই ইসকেমিক ব্রেন স্ট্রোক বা ব্রেনে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া কে বিশেষজ্ঞরা ক্ষণস্থায়ী কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই স্ট্রোকে দীর্ঘস্থায়ী কনো লক্ষণ সাধারণত প্রকাশ পায় না।
ইসকেমিক স্ট্রোক – এটি স্ট্রোকের সবচেয়ে সাধারণ ধরন। এটি ঘটে যখন মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলি সংকীর্ণ বা অবরুদ্ধ হয়ে যায়, যার ফলে রক্ত প্রবাহ মারাত্মকভাবে হ্রাস পায় (এটিই ইসকেমিয়া)।
অবরুদ্ধ বা সংকীর্ণ রক্তনালীগুলি অত্যাধিক ফ্যাটি বা চর্বি জমার কারণে হয় যা রক্তনালীতে জমা হয় বা রক্ত জমাট বা অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ যা রক্ত প্রবাহের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে।
প্রায়শই হৃৎপিণ্ড থেকে এবং মস্তিষ্কের রক্তনালীতে অবস্থান করে।
কিছু প্রাথমিক গবেষণা দেখায় যে COVID-19 বা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ইস্কেমিক স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
২। ব্রেন স্ট্রোক এর কারণ হিসেবে রক্তনালি ফেটে যেতে পারে
হেমোরেজিক স্ট্রোক ঘটে যখন মস্তিষ্কের একটি রক্তনালী ফুটো হয়ে যায় বা ফেটে যায়। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ অনেক অবস্থার ফলে হতে পারে যা রক্তনালীগুলিকে প্রভাবিত করে।
হেমোরেজিক স্ট্রোকের সাথে সম্পর্কিত কারণগুলির মধ্যে রয়েছে নিম্নের কারণগুলি:
- অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ
- রক্ত পাতলা হওয়ায় (অ্যান্টিকোয়াগুলেন্টস) অতিরিক্ত চিকিৎসা
- রক্তনালীর দেয়ালে দুর্বল জায়গায় ক্ষত (অ্যানিউরিজম)
- ট্রমা (যেমনঃ একটি গাড়ি দুর্ঘটনা)
- রক্তনালীর দেয়ালে প্রোটিন জমা যা রক্তনালির দেয়ালে দুর্বলতার দিকে নিয়ে যায় (সেরিব্রাল অ্যামাইলয়েড অ্যাঞ্জিওপ্যাথি)
- ইস্কেমিক স্ট্রোক রক্তক্ষরণের দিকে পরিচালিত করে
- মস্তিষ্কে রক্তপাতের একটি কম সাধারণ কারণ হল পাতলা দেয়ালযুক্ত রক্তনালীগুলির একটি অনিয়মিত জট ফেটে যাওয়া (ধমনীবিকৃতি)।
আরও পড়ুন: বাংলা ও ইংরেজি হাতের লেখা দ্রুত ও সুন্দর করার কৌশল – সুন্দর হাতের লেখা
৩। ব্রেন স্ট্রোক এর কারণ হিসেবে ধুমপান
ধূমপান আপনার স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকাংশে বাড়ায়। নিকোটিন আপনার দেহের রক্তচাপ বাড়ায়। সিগারেটের ধোঁয়া আপনার ঘাড়ের প্রধান ধমনীতে চর্বি তৈরি করে।
এটি আপনার রক্তকে ঘন করে এবং এটি জমাট বাঁধার সম্ভাবনা বেশি করে। এমনকি বাহ্যিক বিভিন্ন ধোঁয়াও এটি প্রভাবিত করতে পারে।
৪। ব্রেন স্ট্রোক এর কারণ হিসেবে উচ্চ রক্তচাপ
ডাক্তাররা এটিকে উচ্চ রক্তচাপ বলে থাকেন। এটি স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারণ।
আপনার রক্তচাপ সাধারণত 130/80 বা তার বেশি হলে, ডাক্তার একে উচ্চ রক্তচাপ বলে।
উচ্চ রক্তচাপ এর ফলে ব্রেন স্ট্রোক হয়ে থাকে।
বিখ্যাত ওয়েবসাইটগুলো এ সম্পর্কে কী বলে? জানুন
৫। ব্রেন স্ট্রোক এর কারণ হিসেবে হৃদরোগ
এই অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোকের কারণের মধ্যে দুর্বল বা ত্রুটিরপূর্ণ হার্টের ভালভের পাশাপাশি অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন, বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন অন্তর্ভুক্ত, যা বয়স্কদের স্ট্রোকের এক চতুর্থাংশ কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এছাড়াও আপনার চর্বি জমা থেকে ধমনী আটকে যেতে পারে।
৬। ব্রেন স্ট্রোক এর কারণ হিসেবে অতিরিক্ত ওজন ও অনিয়মিত ব্যায়াম
আপনার ওজন বেশি হলে আপনার স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
কিন্তু, আপনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত কাজ করে আপনার প্রতিকূলতা কমাতে পারেন। নিয়মিত দ্রুত 30-মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন, অথবা পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম করুন।
যেমনঃ পুশআপ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত চেষ্টা করুন।
৭। ব্রেন স্ট্রোকের কারণ হিসেবে ঔষধ
ওষুধ? হ্যা, কিছু ওষুধ আপনার স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে বা ব্রেন স্ট্রোকের কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপঃ রক্ত পাতলা করার ওষুধ, যা ডাক্তাররা রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করার পরামর্শ দেন।
But, তা কখনও কখনও রক্তপাতের মাধ্যমে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি করে তুলতে পারে।
গবেষণায় হরমোন থেরাপিকে যুক্ত করা হয়েছে, যা মেনোপজের উপসর্গ যেমনঃ গরম ঝলকানির জন্য ব্যবহৃত হয় এমনকি তা স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে।
এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িতে কম ডোজ ইস্ট্রোজেন আপনার স্ট্রোকের সম্ভাবনা কিছুটা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৮। ব্রেন স্ট্রোকের কারণ হিসেবে বয়স ও লিঙ্গ
বয়সঃ
প্রথমেই বলে নি, যে কেউ স্ট্রোক করতে পারে, এমনকি গর্ভের বাচ্চাটিও।শুনে অবাক হলেন!!! হ্যা। আসলেও তাই।
গবেষণায় দেখা যায় সাধারণত, আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কিন্তু এই সম্ভাবনা ৫৫ বছর বয়সের পরে প্রতি দশকে দ্বিগুণ হয়ে থাকে।
লিঙ্গঃ
আমরা এক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে জানিতে পারি যে, একই বয়সের পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা কম। কিন্তু পরবর্তী বয়সে মহিলাদের স্ট্রোক হয়, যা নিরাময়ের সম্ভাবনা কম থাকে এবং ফলস্বরূপ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৯। ব্রেন স্ট্রোকের কারণ হিসেবে পরিবার
কথাটা উদ্ভট হলেও সত্য যে, পরিবারে থেকে এই স্ট্রোক আসতে পারে। মানে আপনার মধ্যে আত্মীয়দের উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা স্থানান্তরিত হতে পারে।
But, কিছু স্ট্রোক একটি জেনেটিক ব্যাধি দ্বারা হতে পারে যা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয়।
তাই পরিবার এ ক্ষেত্রে বেশ প্রভাব ফেলে।
১০। ব্রেন স্ট্রোকের কারণ হিসেবে জাতিগত ভেদাভেদ
জাতি? হ্যা, স্ট্রোক আফ্রিকান-আমেরিকান এবং নন-হোয়াইট হিস্পানিক আমেরিকানদের “ইউএস সিকেল সেল” রোগের অন্যান্য গ্রুপের তুলনায় অনেক বেশি প্রভাবিত করে।
একটি জিনগত অবস্থা যা ধমনী সংকীর্ণ করতে পারে এবং রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
এছাড়াও এই গোষ্ঠীগুলিতে এবং যাদের পরিবার থেকে রোগটি এসেছ তাদের মধ্যে বেশি হয় সাধারণ যাদের পরিবার এসেছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য বা এশিয়া থেকে।
আরো পড়ুন:
- কম্পিউটার শেখার সহজ উপায় – কীভাবে দক্ষ হবেন কম্পিউটারে
- কিভাবে কম্পিউটার চালাতে হয় – বেসিক কম্পিউটার ধারণা
- সুন্দর হাতের লেখা – হাতের লেখা সুন্দর ও দ্রুত করার ১২ টি নিয়ম
- ব্লগিং করে টাকা আয় ২০২২। ব্লগিং ওয়েবসাইট
শেষকথা:
যে ১০ টি কারণে বাড়ছে ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু ঝুঁকি। ব্রেন স্ট্রোক কী – সম্পর্কিত পোস্টটি আজকের মতো এ পর্যন্তই।
পরবর্তী পোস্টে আমি – “ব্রেইন স্ট্রোকের ঔষধ, ব্রেইন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা, স্ট্রোক এর ঔষধ, মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ, স্ট্রোকের পর করণীয়, ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম, ব্রেইন স্ট্রোকের ডাক্তার, ব্রেন স্ট্রোক হাসপাতাল, স্ট্রোকের রোগীর পরিচর্যা, ব্রেন স্ট্রোক অপারেশন, ব্রেইন স্ট্রোকের হোমিও চিকিৎসা” ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করবো।